কাশ্মিরে নিপীড়ন বন্ধের দাবি মাওবাদীদের

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সরকারি বাহিনীর নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছে মাওবাদীদের একটি গ্রুপ। বৃহস্পতিবার ভিশাকা এজেন্সি এলাকায় তারা কাশ্মিরের পক্ষে ব্যানার নিয়ে হাজির হয় এবং স্লোগান দেয়। তারা জানায়, আত্মনিয়ন্ত্রণ কাশ্মিরিদের জন্মগত অধিকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক নীতির কারণে তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

bc06091b-533f-4455-9b9a-8c2007b6a3c7গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। লাদাখ ও কাশ্মিরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে বিল পাস হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। কাশ্মিরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীসহ শত শত মানুষকে আটকের কথা জানা গেলেও মোট আটকের সংখ্যার বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি ভারত সরকার।

বৃহস্পতিবার মাদ্দিরুভু, বনগ্রাম, গোমাঙ্গি ও মাদগুলার অন্যান্য অঞ্চলের মাওবাদীরা ভিশাকা এজেন্সি এলাকায় এসে জড়ো হয়। এর আগে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাওবাদীরা কাশ্মিরিদের সমর্থনে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছিলো। তারা জানায়, সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মিরকে দ্বিখণ্ডিত করে দেওয়ার নীতিকে সমালোচনা করা উচিত।

মাওবাদীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মিরের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিতে চায়। তারা জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর পক্ষে কোনও যুক্তি না দিয়ে বলছেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাস রুখতে এই পদক্ষেপ। আগামী পাঁচ বছরও এই নাটক চালিয়ে যাবেন তিনি।

ষাটের দশকের শেষ দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ী থেকে মাওবাদী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তবে নকশালপন্থী আন্দোলন সত্তরের দশকের প্রথমার্ধ থেকেই গতি হারাতে শুরু করেছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের ছত্তিশগড়ের জঙ্গলসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও মাওবাদী আন্দোলন জোরালো হতে শুরু করে।