সৌদি আরবে হামলায় ইরানের জড়িত থাকার ‘প্রমাণ’ হাজির করলো যুক্তরাষ্ট্র

সৌদি আরবের বৃহৎ দুই তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার নেপথ্যে ইরানের জড়িত রয়েছে দাবি করে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও মনে করেন, ড্রোন হামলায় ইরান জড়িত। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে দাবি করে আসছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।6000 (1)

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো-র দুইটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর তেল উৎপাদন অর্ধেকে কমিয়ে আনে সৌদি আরব। হামলার পর ইরানকে দায়ী করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে প্রায় ১০০ হামলার পেছনে তেহরান জড়িত। উত্তেজনা হ্রাসের সব আহ্বানের মধ্যেও ইরান এখন বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে।’  রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) টুইটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সরাসরি অভিযুক্ত করা থেকে বিরত ছিলেন, তবে এ সময় তিনি পরিচিত শত্রু দেশের বিরুদ্ধে একবার সামরিক পদক্ষেপের পরামর্শ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামলার ব্যাপ্তি ও গতিপথের কারণে হুথি বিদ্রোহীদের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে’। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হামলা ও লক্ষ্যবস্তুর ১৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। যা ইয়েমেনের হুথিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা নয়, সৌদি তেল স্থাপনার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক। কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই হামলাটি উত্তর উপসাগর, ইরান বা ইরাকের কোনও ঘাঁটি থেকে চালানো হয়ে থাকতে পারে। যদিও ইরাক তাদের ভূখণ্ড থেকে সৌদি আরবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

সৌদির তেল স্থাপনা আবকাইকের ক্ষতিগ্রস্ত ট্যাংকের একটি ক্লোজ-শট ছবিতে ওইটার পশ্চিম দিকের ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টগুলো দেখা গেছে।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সম্ভবত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র  ও ড্রোন একত্রে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল। সবগুলো তেলক্ষেত্র আবকাইক ও কুরাইসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেনি।

এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, ওই হামলার জন্য ইরান দায়ী এ ব্যাপারে পুরোপুরি একমত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ বক্তব্যের বিষয়ে ইরান এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটবার্তায় বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল ব্যর্থতা হওয়ায় এখন সর্বোচ্চ প্রতারণার দিকে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’