ইরানের ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার পর ওয়াশিংটন-তেহরানের বাকযুদ্ধের পর শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি এ পদক্ষেপের কথা জানান।download

চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করে। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করে আসছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর সম্ভাব্য অবরোধের লক্ষ্যবস্তুর একটি তালিকা পর্যালোচনা করেছেন তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। এরপর ইরানের অর্থনীতির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে তাদের ন্যাশনাল ব্যাংকের  ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘একটি দেশের ওপর এ পর্যন্ত এটা সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা।’

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন ওভাল অফিসে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি হচ্ছে ইরানের অর্থের সর্বশেষ উৎস। ‘এটা খুব বড়। আমরা এখন ইরানের অর্থের সব উৎস বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ বৃহস্পতিবার বলেছেন,  ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযান চালালে তা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ পরিণত হবে।  ওই ঘোষণা দেওয়ার একদিন পর ট্রাম্প ওই ঘোষণা দেন।

সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার পর লস অ্যাঞ্জেলেসে সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ইরানের ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি।’ এর আগে এক টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন, অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নুচিনকে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বাড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ওই পদক্ষেপ নিলেন তিনি।