ঐতিহাসিক রায়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিতকে অবৈধ ঘোষণা

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট স্থগিতের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়, গণতন্ত্রের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছিলো। এর আগে স্কটল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টও জনসনের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিলো। তবে সাম্প্রতিক এই রায়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি সরকার।   

image

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন তিনি। মঙ্গলবার জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন। এই প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাব পাশ হলে হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনার কথা জানান। বন্ধ করে দেন পার্লামেন্ট অধিবেশন।

আদালত জানায়, ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট সময়সীমা সামনে রেখে দায়িত্বপালন না করে পার্লামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া  ভুল ছিলো।  সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লেডি হেল বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আমাদের গণতন্ত্রের ভিত্তিতে মারাত্মক প্রভাব পছে।  তিনি বলেন, পার্লামেন্ট স্থগিত করার ব্যাপারে রানীকে পরামর্শ দেওয়া ঠিক হয়নি। কারণ এতে করে পার্লামেন্ট তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে কোনও কারণ ছাড়াই বাধা পেয়েছে।

লেডি হ্যালে বলেন, ১১ জন বিচারকই বলেছেন পার্লামেন্ট স্থগিত না হলে সিদ্ধান্ত অন্যরকম হতে পারতো।

কমন্স স্পিকার জন বারকাউ এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পার্লামেন্ট অবশ্যই খুলে দিতে হবে। এখন জরুরি ভিত্তিতে তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান।