ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ মালুকুতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালুকুর দীপগুলোতে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ব্যাপকমাত্রায় ভূমিধস ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।6aaf56197e8641568670f8eec8cf8855_18

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূ-প্রকৌশল সংস্থাকে (বিএমকেজি) উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছেম,  বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরে অনুভূত এ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিলো ৬ দশমিক ৫। দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি প্রাদেশিক রাজধানী আমবোন থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ছিলো। তবে এ ‍ভূমিকম্পে সুনামির সম্ভাবনা নাকচ করেছে বিএমকেজি।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র আগুস উইবোও এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ওই ভূমিকম্পে ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে আহত হয়েছে শতাধিক এবং ২ হাজারের অধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

বিএমকেজির ভূমিকম্প বিভাগের প্রধান রহমত ত্রিওনো বলেন, ‘আমবোন শহর ও এর আশপাশ এলাকায় ওই ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে। ওটার ঝাঁকুনিতে অনেক মানুষ জেগে ওঠে।’ আতঙ্কিত অবস্থায় বাইরে বের হয়ে সুনামির শঙ্কায় তারা পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়।

আমবোনের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা আলবার্ট সিমায়েলা রয়টার্সকে জানান, ‘মোটরসাইকেলে করে, গাড়িতে চড়ে ও পায়ে হেঁটে প্রত্যেকেই পাহাড়ের দিকে ছুটছেন। রাস্তায় জ্যাম লেগে গেছে। শহর একেবারে শান্ত কারণ সবাই চলে গেছে। পরে সুনামি হবে না এমন খবরের পরও লোকজনের শঙ্কা কাটছে না।’

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম ‍ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল প্যাসিফিক রিং অব ফায়ারের (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) ওপর অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। গত বছর মালুকুর পশ্চিমে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে পালু শহর বিধ্বস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর শহরটিতে সুনামি আঘাত হানে। এতে চার হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সাগরের তলদেশে সংঘটিত এক ভূমিকম্পে পর সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে ১৪টি দেশের দুই লাখ ২৬ হাজার লোক নিহত হয়েছিলো,  তাদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার জন ছিল ইন্দোনেশিয়ার।