স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে ভারত: মোদিকে কটাক্ষ রাহুলের

প্রত্যেকেই জানেন ভারতে কী ঘটছে। এটা কারও কাছে গোপন নয়, গোটা দেশ এটা জানে। পুরো দুনিয়া জানে, আমরা স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে চলেছি, এটা খুব স্পষ্ট। ৪ অক্টোবর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক প্রধান রাহুল গান্ধী।
ভারতজুড়ে গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি লেখা দেশটির ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের পর এমন মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বললে, সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে, তাকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতে কী চলছে তা সবাই জানে। এই জিনিস কারও কাছে গোপন নেই।

রাহুল গান্ধী বলেন, ‘একদিকে ধারণা জন্মেছে যে, এক ব্যক্তিই দেশ শাসন করবেন। দেশে একটি মাত্র আদর্শই থাকবে। বাকিদের মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হবে। আর অন্যদিকে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি এবং বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। দেশে এখন এই যুদ্ধই চলছে।’

নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করে রাহুল বলেন, তারা কেন ভারতের অর্থনীতি ধ্বংস করেছেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে উত্তর দেয়া উচিত। ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল এর অর্থনীতি। কিন্তু আজ তাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে দেশে বেকারত্ব বেড়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতজুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত জুলাই মাসে মোদিকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ, চিত্র পরিচালক মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, শ্যাম বেনাগাল, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী অপর্ণা সেন-সহ ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

চিঠিতে বলা হয়, মুসলিম, দলিত এবং সংখ্যালঘুদের এভাবে পিটিয়ে মারার ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ভিন্নমত থাকাটা স্বাভাবিক। বিরুদ্ধ মতপ্রকাশের অধিকার ছাড়া কোনও গণতন্ত্র বাঁচতে পারে না। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিহারের মুজফ্ফরপুরে ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপরই মোদির বিরুদ্ধে ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ ও স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন রাহুল। সূত্র: পার্স টুডে, আনন্দবাজার।