ট্রাম্পের অভিশংসনে সহযোগিতা না করার ঘোষণা হোয়াইট হাউসের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এক চিঠিতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের অভিশংসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে না হোয়াইট হাউস। এর ফলে প্রতিনিধি পরিষদের যে তিনটি কমিটি ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনও তথ্য পাবে না। সরকারি কোনও কর্মকর্তাও আর তাদের ডাকে সাড়া দেবেন না। প্রতিনিধি পরিষদের ওই তিনটি কমিটিরই প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিরা।

হোয়াইট হাউসের এ পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্রের দুই প্রধান শাখার মধ্যে সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্ব জটিল আকার ধারণ করতে যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অভিশংসন প্রক্রিয়া সংবিধানসম্মত নয় এবং এ সংক্রান্ত যে তদন্ত শুরু হয়েছে তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যকার একটি টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনকলের অনুলিপিও গোপন করতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউস। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। হোয়াইট হাউসের ফোনকলের প্রতিলিপিতে দেখা গেছে, ট্রাম্প গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এই তদন্তের জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। ট্রাম্পকে তার পদ থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করেছে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। তবে এ ইস্যুতে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগকে ন্যাক্কারজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প।

ওই ফোনকলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে কোনও আনুকূল্য চেয়েছেন কিনা? সম্প্রতি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখুন, আমি মনে করছি যে তারা যদি এতে সৎ হয়ে থাকে তাহলে বাইডেনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত শুরু করতে পারে। এটা খুবই সহজ উত্তর। তাদের উচিত বাইডেনদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা।’

ট্রাম্প বলেন, ‘একই রকমভাবে চীনও বাইডেনদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারে। কারণ চীনে যা ঘটেছিল তা ইউক্রেনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার মতোই খারাপ’। সূত্র: পার্স টুডে, রয়টার্স।