ড্রাগন-হাতির নৃত্যই ভারত-চীনের একমাত্র সঠিক পছন্দ: শি জিনপিং

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দুই দিনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর দেশে ফিরে শনিবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিবৃতিতে তিনি দুই দেশের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ড্রাগন ও হাতির নৃত্যই উভয় দেশের একমাত্র সঠিক পছন্দ। এতেই উভয় দেশ ও তাদের জনগণের মৌলিক স্বার্থ জড়িয়ে আছে। ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে বিষয়টি জানা গেছে।

Capture

দুই দিনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নিতে শুক্রবার তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরাম শহরে যান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনিপিং। এ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন শি জিনপিং। এ সময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরালো করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আলাপ করেন তারা। শুক্রবার ভারতের মামাল্লাপুরাম শহরে নৈশ ভোজের সময় এই আলোচনায় অংশ নেন মোদি-শি। দুই নেতা নিজ নিজ দেশে ধর্মীয়, জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অক্ষুন্ন রেখে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ দমনে একমত হন।

বিবৃতিতে শি জিনপিং বলেন, চীন ও ভারতের একে অন্যের উন্নয়নের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ ও কৌশলগত পারস্পারিক বিশ্বাস বাড়ানো উচিত। সব বিভেদ ভুলে দুই দেশের উচিত একে অন্যের সুযোগ-সুবিধার দিকে দৃষ্টি রাখা। এতে দুই দেশেরই লাভ, দুই দেশ একই সঙ্গে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। সব দৃষ্টিকোণ থেকেই এই সম্পর্ক ধরে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, দুটি দেশ একে অন্যের প্রতিবেশী।’

বিবৃতিতে জিনপিং আরও বলেন, এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওই একান্ত বৈঠকে দুই দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যের অগ্রগতি নিয়েও কথা হয়।

কথা প্রসঙ্গে তিনি দুই দেশের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘ড্রাগন ও হাতির নৃত্য অর্জনই চীন ও ভারতের একমাত্র সঠিক পছন্দ। যাতে উভয় দেশের ও তাদের জনগণের মৌলিক স্বার্থ রয়েছে।’

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কার্যকর পদ্ধতিতে ও সময়মতো উভয় দেশের কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখা উচিত। আগামী কয়েক বছর দুই দেশের জন্য সংকটপূর্ণ হবে। এমন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় যা একে অন্যের জন্য উদ্বেগজনক। তা সতর্কভাবে মোকাবিলা করা উচিত।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বাস বৃদ্ধি, বিভ্রান্তি দূর ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার আলোকে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক জোরদার করা উচিত।’