আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সিরিয়ায় অভিযান: তুরস্ক

আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সোমবার এমন মন্তব্য করেছেন তুর্কি বিচারমন্ত্রী আবদুলহামিত গুল।noname
ফ্রান্স সফররত তুর্কি বিচারমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক অন্য কোনও দেশের ভূখণ্ডে নজর দিচ্ছে না। সেখানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করাই আমাদের লক্ষ্য। আর আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর আওতার মধ্যেই এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এ অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটি থেকে আইএস জঙ্গি ও কুর্দি বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করে সেখানে একটি সেফ জোন প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী আঙ্কারা। এ সেফ জোনে দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কে বসবাসরত সিরীয় শরণার্থীদের বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায় আঙ্কারা।

অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ইউফ্রেতাসের পূর্বদিকে প্রবেশ করে। তুর্কি অভিযানে সহযোগিতার জন্য তারা অগ্রসর হচ্ছে। পরে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় অভিযানে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করে তুরস্ক। এতে পাঁচ শতাধিক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আঙ্কারা। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, এ অভিযানে ৩৮ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, ‘তারা (বিদেশি সংবাদমাধ্যম) সবসময় একই কৌশল ব্যবহার করে। আমরা সত্য বলার চেষ্টা করবো।’

সোমবার সকালে সীমান্তবর্তী শহর তেল তামেরে সিরিয়ার সেনাবাহিনী প্রবেশের বিষয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোবানিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনীতে আমি কোনও সমস্যা দেখিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এ ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।’

এর আগে কুর্দি নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ার উত্তরে তুরস্কের অভিযান প্রতিরোধ করতে কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তায় সীমান্তে সরকারি সেনা মোতায়েন করছে দামেস্কো। সিরিয়া সরকারের সঙ্গে তাদের একটি সমঝোতা চুক্তির পর ওই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্র: রয়টার্স, আনাদোলু এজেন্সি।