আদালতের কাঠগড়ায় ১৩টি টিয়া

রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থার হাত থেকে রেহাই মেলে না পাখিদেরও! ভারতে সম্প্রতি ১৩টি টিয়া পাখিকে সম্প্রতি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই পাখিগুলোকে বিদেশে পাচার করা হচ্ছিল। সেই পাচারের ঘটনা প্রমাণেই পাখিগুলোকে আদালতে আনা হয়। 

noname

১৬ অক্টোবর (বুধবার) দিল্লির একটি আদালতের কাঠগড়ায় খাঁচায় পুরে ওই ১৩টি টিয়াকে নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। সঙ্গে আনা হয় অভিযুক্ত পাচারকারী আনভারজন রাখমাজোনোভকে। উজবেকিস্তানের এই নাগরিককে ১৩টি টিয়া সহ বুধবার ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইএসএফ। টিয়াগুলিকে জুতোর বাক্সে ভরে পাচারের চেষ্টা করছিল আনভারজন। পুলিশের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করেছে, পুরনো দিল্লির এক পাখি বিক্রেতার কাছ থেকে টিয়াগুলিকে সে কিনেছিল পাচারের উদ্দেশ্যে। কারণ উজবেকিস্তানে টিয়া অমিল হওয়ায় সেখানে এই পাখির প্রচুর চাহিদা বলে জেরায় জানিয়েছে আনভারজন।

টিয়া পাখিকে আদালতে পেশের কারণ হিসেবে শুল্ক দপ্তরের আইনজীবী পি সি শর্মা আজকাল পত্রিকাকে বলেছেন, ‘‌আইন অনুযায়ী, মামলা উল্লেখ্য কোনও সম্পত্তি বা এমন কিছু যার সঙ্গে মামলার যোগাযোগ আছে, তা আদালতে পেশ করতেই হয়। এবং যেহেতু পাখিগুলি জীবন্ত সেহেতু সেগুলিকে আদালতে পেশ করতে হয়েছিল। পাচারকারী পাখিগুলি দেশের বাইরে পাচারের চেষ্টা করছিল। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, ভারতে টিয়া বিক্রি বেআইনি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে শুল্ক দপ্তর।’‌ 

অভিযুক্ত আনভারজন জামিনের আবেদন জানালেও আদালত তা অগ্রাহ্য করে তাকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে। টিয়াগুলিকে ওখলা পাখিরালয়ে পাঠানোর লিখিত আদেশ দিয়েছেন বিচারক।