মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে: জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। রবিবার (৩ নভেম্বর) ব্যাংককে আসিয়ানের এক শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সেখানে দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও নেত্রী অং সান সু চি উপস্থিত ছিলেন।

0c893c4bc610416da035e9059bfd35c6_18

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে জাতিগত নিধন ও গণহত্যার আলামত। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতেও কোনও কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি সু চি’র নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার। বরং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার কোনও অগ্রগতি না হওয়ার দায় বাংলাদেশের ওপর চাপিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় ও নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছেন তিনি। এমন বাস্তবতায় গত আগস্টে মিয়ানমার সরকার বলেছিলো যে,তারা ৩,৪৫০ রোহিঙ্গাকে ফিরে আসার ব্যাপারে সম্মত। ওই সময় কেউ ফিরে আসেনি। পরে কয়েক দফা চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি।

রবিবারের সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা মিয়ানমারের দায়িত্ব। এ সময় মিয়ানমারের রাখাইনে মানবাধিকার কর্মীদের সম্পূর্ণ ও নিরবিচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারের সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। গুতেরেসের ওই বক্তব্যের সময় ওই কক্ষে সু চি ভাবলেশহীনভাবেই বসেছিলেন। 

মাত্র কয়েকশো রোহিঙ্গা এ পর্যন্ত মিয়ানমারে ফেরত গেলে বাদবাকিরা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ফিরে গেলে আরও বেশি নির্যাতনের মুখে পড়ার ভয় পাচ্ছে।