ইরাকে বেসামরিক হত্যার নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের

ইরাকে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বেসামরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের বাকস্বাধীনতা হরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকট সমাধানের তাগিদ দিয়েছে ওয়াশিংটন।

thumbs_b_c_5c1c9714559fc92d5502e5b3b6063558

গত ১ অক্টোবর থেকে কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। কর্মসংস্থানের সংকট ও দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হলেও সেটি এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৫০ বিক্ষোভকারী।

বাগদাদে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের অপহরণ ও হত্যা ও তাদের বাকস্বাধীনতার ওপর হুমকির নিন্দা জানাই। এই সহিসংতার চক্রেরও নিন্দা জানাই আমরা।‘ মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  নিজ দেশের ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা ইরাকিদেরথাকতে হবে। তাদের ইচ্ছাকে দমন করে দেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

ইরাকি রাজনীতিবিদদের অবিলম্বে সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত ইরাকিদের সঙ্গে কথা বলে এর অবসানের আহ্বান জানায় মার্কিন দূতাবাস।  

এদিকে আন্দোলনকারীদের অনেকেই এখন ইরাকের রাজনৈতিক শ্রেণিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের আজ্ঞাবহ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা মূলত আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের জন্য ইরাককে ‘প্রক্সি’ ভূমি হিসেবে ব্যবহার করছে। ২০০৩ সালের পর ইরাকের শাসনব্যবস্থাকে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো ভাগ করে নিয়েছে। একারণে মূলত তাদের ক্ষোভ। বিদেশিদের হস্তক্ষেপমুক্ত ইরাক তাদের প্রত্যাশা।