১৬ সঙ্গীকে হত্যা করলো উ. কোরিয়ার দুই জেলে

একই নৌকায় থাকা ১৬ জেলেকে হত্যা করে দক্ষিণ কোরিয়া পালিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি ২ ব্যক্তির। শনিবার উপকূলীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করলে ওই দুই জেলেকে আটক করে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের পিয়ংইয়ংয়ের কাছে হস্তান্তর করে সিউল।  

noname

জানা গেছে, একই নৌকায় করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ওই ১৮ জন জেলে। সমুদ্রপথে উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন তারা। আর যাত্রার মাঝপথেই ১৬ সঙ্গীকে নির্মমভাবে হত্যা করে ওই দুই জেলে।

উত্তর থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সাধারণত রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এক্ষেত্রে পালিয়ে আসা দুজনকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করেছে সিউল। তাদের দলত্যাগী নয় বরং অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং সেই কারণেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, স্বীকারোক্তিতে দুজন জানিয়েছে, দুর্ব্যবহারের কারণে গত অক্টোবরে আরও এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তারা দুজন জাহাজের ক্যাপ্টেনকে হত্যা করে। এর প্রতিবাদ করায় অন্য ক্রুদেরও একে একে হত্যা করে তারা। পরে তিনজনই উত্তর কোরিয়ায় ফিরে যায়। তবে স্থানীয় পুলিশ একজনকে আটক করলে অপর দুজন তাদের নৌকায় করে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে আসে।

দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ‘গুরুতর অপরাধীদের’ থাকার অনুমতি দিতে পারে না। ২০ বছর বয়সী দুজনকে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অসামরিক এলাকা পানজুমান দিয়ে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হত্যাকারী দুই জেলে ইতোমধ্যে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। গত মাসের (অক্টোবর) শেষ সপ্তাহে তারা প্রথমে ক্যাপ্টেনকে হত্যা করে। এরপর একে একে ওই মাছ ধরার নৌকায় থাকা অপর জেলেদেরও হত্যা করে তারা।