কিউবার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ৬০ বছর ধরে এই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।   বৃহস্পতিবার পাশ হওয়া এই আহ্বানে অর্থনৈতিক,বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

thumbs_b_c_c937171346e967d9ce41b4ccc400ef45

১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র-কিউবার মধ্যে সম্পর্ক শীতল হতে থাকে। এরপর প্রায় পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এ কারণে পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কও নষ্ট হয়। পরে কিউবার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয় ওবামা প্রশাসন। দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তিও হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর আবারও দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। গত বছরের জুনে ওবামা প্রশাসনের কিউবা নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

এক টুইট বার্তায় কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা তারা সত্যিকার অর্থেই বহাল রেখেছে। কিন্তু আমরা আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে এর মোকাবিলা করবো। কিউবার পক্ষে এত সমর্থন আসায় আমি কৃতজ্ঞ।  

পরিষদে ১৮৭টি দেশই কিউবার পক্ষে ভোট দেয়। নিষোধাজ্ঞার পক্ষে রায় দেয় ৩টি দেশ। দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ব্রাজিল। আর বিরত ছিলো কলম্বিয়া ও ইউক্রেন।

গত ২৮ বছর ধরেই জাতিসংঘের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছিলো যুক্তরাষ্ট্র। তবে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। কিউবার সঙ্গে সম্পোর্কন্নয়নের চেষ্টা করে ওবামা প্রশাসন। ২০১৭ সালে আবারও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই অবস্থান নেয়। বিশ্বের ১৯১টি দেশ জাতিসংঘে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে রায় দিলেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে। তাদের সমর্থন দেয় ইসরায়েল।