হংকং-এ সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান ইইউ-এর

হংকং-এর বিদ্যমান অস্থিরতায় সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমন আহ্বান জানানো হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে কোনও সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।noname
ফেডেরিকা মোঘেরিনি বলেন, সংযম প্রদর্শন এবং উত্তেজনা নিরসনের প্রচেষ্টায় সব গঠনমূলক অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপগুলো অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। হংকং-এর বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের মতো মৌলিক অধিকারগুলোর সুরক্ষা অবশ্যই বহাল রাখতে হবে।

এদিকে হংকং-এর বিক্ষোভে সহিংসতার তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং। লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি মনে করি হংকং সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব চেষ্টা করছে। তবে পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্যই হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। এই অস্থিরতা থামানোর মতো পর্যাপ্ত সমাধান ও ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

চীনপন্থী রাজনীতিক ও হংকং আইন পরিষদের সাবেক প্রধান জেসপার সাং বলেছেন, হংকং-এর বিক্ষোভকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ পরিস্থিতিতে রূপান্তর করা হবে! আর বেইজিং চেয়ে চেয়ে তা দেখবে! এমনটা হবে না। পরিস্থিতি দিন দিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।noname

১৮ নভেম্বর সোমবার ভোর থেকেই হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের তীব্র সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। এক পর্যায়ে ব্যারিকেডের পেছন থেকে পুলিশের দিকে পেট্রোল বোমা ও তীর ছুড়ে মারে আন্দোলনকারীরা। এতে ইউনিভার্সিটির প্রবেশপথে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, পুলিশের ওপর হামলা বন্ধ করা না হলে তারা বিক্ষোভরতদের ওপর গুলি ছুড়বে। এমন পরিস্থিতিতেই সোমবার সব পক্ষের প্রতি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানালো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।