ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখতে পারে ভারত

পেঁয়াজের রফতানি নিষেধাজ্ঞা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সে দেশের এক সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ কারণে রফতানি নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ রফতানি করে থাকে ভারত। সেপ্টেম্বর থেকেই রফতানি বন্ধ রাখলেও বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ভারতে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণ হয়নি। নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ স্থানীয় চাহিদা পূরণে বিকল্প পথ খুঁজছে। বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

ভারতের রাষ্ট্রীয় হর্টিকালচার গবেষণা ও ‍উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, বিগত ছয় বছরে এবারই পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ। নভেম্বরের শুরুর দিকে ভারতে পাইকারি কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫ রুপি, এখন তা দাঁড়িয়েছে ৪০ রুপিতে।

এর আগে পেঁয়াজ চাষি ও সরকরি কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আবার রফতানি শুরু করা হবে। তবে ভারতের গ্রাহক বিষয়ক দফতরের ‌ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ২০ রুপিতে নামার আগে তারা রফতানির কথা ভাবছেন না। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কমলে আবার আমরা রফতানির কথা চিন্তা করবো। এই মুহূর্তে তা সম্ভব নয়। জানুয়ারি থেকে আমাদের সরবরাহ বাড়তে পারে।’

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোকে এখন মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক ও চীনের পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।