ভারত মুসলিমদের জন্য নয়: মেহবুবা মুফতির মেয়ে

অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে উত্থাপিত খসড়া আইন ভারতীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার পর কড়া সমালোচনা করেছেন কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মেয়ে সানা ইলতিজা জাভেদ। আইনটির মাধ্যমে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ওই খসড়া বিলে অনুমোদন দেওয়ার পর এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ভারত মুসলিমদের জন্য নয়।’

ea255a9f720ceae9e53db0341485e0e0-5d8778fd4210a৫ আগস্ট কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দিন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিকে আটক করা হয়। এরপর থেকে মুফতির মেয়ে সানা ইলতিজা তার মায়ের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করছেন। বুধবার মায়ের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

বুধবার ভারতে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে একটি খসড়া বিলে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে শরণার্থী হওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে এ বিলটি আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে দেশটির পার্লামেন্টে ‘সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (ক্যাব)’ নামের এ বিলটি গৃহীত হতে পারে। এর আগেও একবার পার্লামেন্টে এ বিলটি পেশ করা হয়েছিল। তবে ওই সময় বিলটি পাস করাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তখন আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে বিলটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের লক্ষ্য ছয়টি সম্প্রদায়কে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া। হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি- অন্য দেশের এই ছয় ধর্মাবলম্বী যেসব অমুসলিম শরণার্থী বৈধ নথিপত্র ছাড়া ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছেন তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।
এই বিলের বিরোধিতা করেছে বিরোধী রাজনীতিকরা। তারা বলছেন, এই বিলে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে, তারা প্রতিবেশী দেশের ‘নিপীড়িত’ সংখ্যালঘুদের ‘সহযোগিতা দিতে দায়বদ্ধ’।

সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এটিই ইলতিজার প্রথম টুইট বার্তা নয়। এর আগেও তিনি কাশ্মিরকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে পরিণত করার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। ওই সময় তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারত সরকারের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ও অশুভ। তারা দেশের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যের জনতত্ত্ব বদলে নিতে চায়। মুসলিমদের শক্তি তারা এতটাই খর্ব করে দিতে চায়, যাতে তারা নিজেদের দেশেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকতে বাধ্য হয়।’