উ. কোরিয়াকে আবারও আলোচনায় ডাকলো যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর কোরিয়াকে আবারও আলোচনায় ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার সোহে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে একটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা’ সম্পন্নের দাবি করে পিয়ংইয়ং। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন বিয়েগান একে 'উসকানি' আখ্যা দেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে উত্তর কোরিয়াকে আবারও পরমাণু আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

Captureগত মাসে দুই দেশের মধ্যকার আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর উত্তর কোরিয়া নতুন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এ এক বছরের শেষ নাগাদ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, যাতে দেশটির বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়। অন্যথায় বিকল্প পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় পিয়ংইয়ং। সম্প্রতি জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরীয় দূত কিম সং বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনও দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার প্রয়োজন নেই। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা থেকে এরই মধ্যে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আবারও আলোচনায় বসার আহ্বান জানান উত্তর কোরিয়া বিষয়ক ওই মার্কিন দূত।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন দূত স্টিফেন বলেন, ‘আমাকে উত্তর কোরিয়ার সহযোগীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে দিন। এখন কাজ করার সময়। এই কাজ করতে হবে। আমরা এখানে আছি। আসুন আমরা আমাদের কাজ সম্পন্ন করি। আপনারা জানেন আমাদের কাছে কীভাবে পৌঁছাতে হয়।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের হ্যানয় শীর্ষ বৈঠকের কথা ছিল। তবে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় ওই আলোচনা ভেস্তে যায়। পরে দুই কোরিয়ার সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ২০১৮ সালের জুনে সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প ও কিম। তবে দৃশ্যত এসব সাক্ষাতে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের বাইরে উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি হয়নি।