ফোনালাপের পরই ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেন ট্রাম্প

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের পরই দেশটিতে মার্কিন সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ফোনালাপের দেড় ঘণ্টার মধ্যেই এ নির্দেশ দেন তিনি। সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টিগ্রিটি নামক একটি প্রতিষ্ঠান আলোচিত ওই ফোনালাপ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে এ সংক্রান্ত ইমেইল প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের নির্দেশে প্রকাশিত ওই ইমেইলে উঠে এসেছে এমন চিত্র। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রকাশিত ইমেইলে দেখা যায়, ইউক্রেনকে ৩৯ কোটি ১০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় হোয়াইট হাউস।

প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের ইমেইল পাঠিয়ে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। হোয়াইট হাউসের নির্দেশনার ভিত্তিতে ওই ইমেইলটি পাঠান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক মাইকেল ডাফি।

ইউক্রেনের জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাসের মাথায় গত ২৫ জুলাই এ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনা ফাঁস হলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনকলের অনুলিপিও গোপন করতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউস। তবে শেষ পর্যন্ত ওই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

হোয়াইট হাউসের ফোনকলের প্রতিলিপিতে দেখা গেছে, ট্রাম্প গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এই তদন্তের জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পরই ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। সূত্র: বিবিসি।