ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলার জন্য ইরানকে দুষলেন ট্রাম্প

ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই হামলার পর টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে নিজের এমন অবস্থানের কথা জানান তিনি।noname
টুইটে ট্রাম্প বলেন, ইরান একজন আমেরিকান ঠিকাদারকে হত্যা করেছে। অনেকে আহত হয়েছে। আমরা শক্ত প্রতিক্রিয়া জানালাম এবং সবসময়ই জানাবো। ইরান এখন ইরাকের মার্কিন দূতাবাসে হামলার চেষ্টা করছে। এর পুরো দায়দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। আশা করি, দূতাবাস রক্ষায় ইরাক সরকার তার বাহিনী ব্যবহার করবে এবং আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবারের ওই হামলায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস কম্পাউন্ডে অগ্নিসংযোগ করে একদল বিক্ষোভকারী। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে মানুষের ঢল নামে। এ সময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়। আগুন ধরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ও দূতাবাসের দেয়ালে।

গত ২৯ ডিসেম্বর ইরাকের আধাসামরিক বাহিনী হাশদ আশ শাবি-র ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়। এই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয় ইরানের প্রভাবশালী আল কুদস ফোর্স। হামলার পরপরই এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয় হাশদ আশ শাবি-র মতো আধাসামরিক বাহিনীগুলোকে নিয়ে গঠিত শিয়াপন্থী জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স (পিএমএফ)। মঙ্গলবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অনেকের হাতেই ছিল হাশদ আশ শাবি-র পতাকা।

২৯ ডিসেম্বর মার্কিন হামলায় নিহত ইরানপন্থী বিদ্রোহীদের জানাজা শেষে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র জানিয়েছে, বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠার আগেই ভবনটি থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দূতাবাসের মূল ভবনের ছাদে অন্তত তিনজন মার্কিন সেনাকে দেখা গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এদিন দূতাবাসের প্রধান ফটক ভাঙচুরের পর দূতাবাস কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী। এ সময় তারা সেখানকার অভ্যর্থনা এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, দূতাবাস এলাকা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা গেছে।