শুক্রবার মিয়ানমার যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে যখন মিয়ানমার থেকে বিশ্ব সম্প্রদায় মুখ ফিরিয়ে ‍নিচ্ছে, ঠিক তখনই অবকাঠামো খাতে কোটি কোটি ডলারের বড় বিনিয়োগ চুক্তি করতে দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুই দিনের সফরে নেপিদো যাচ্ছেন তিনি। ১৯ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম কোনও চীনা প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেশটিতে যাচ্ছেন। সফরের প্রথম দিনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।  

918C600B-23ED-4EB1-AEAB-7FDDA2135F0B_cx20_cy13_cw62_w1597_n_r1_st

মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, দেশটির সেনা প্রধান মিন অং লাইংয়ের সঙ্গেও দেখা করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তবে কোথায় এই বৈঠক হবে সে বিষয়ে জানা না গেলেও সেনা সদর দপ্তরে হচ্ছে না এটা নিশ্চিত। সফরে দেশটির সরকারি ও বিরোধী দলের নেতা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রভাবশালী ভিক্ষুদের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে চীনের প্রেসিডেন্টের। পরে চীন-মিয়ানমার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। 

রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারকে যখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশ দায়ী করছে এবং দেশটি যখন এই প্রশ্নে চাপের মুখে রয়েছে, ঠিক তখনই চীনের প্রেসিডেন্টের সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকালে মিয়ানমারের রাখাইনের কায়াপিউতে চীনের সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এবং সেখানেই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বিষয়ে বেইজিং ও নেপিদোর মধ্যে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

মিয়ানমারের ভেতর দিয়ে ‘চায়না-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সাথে চীনের সংযুক্তির পথ এবং চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেসিয়েটিভ’-এর বিষটিকেও ভূ-রাজনৈতিক, নিরাপত্তা কৌশল, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং চীনের প্রভাব বলয় সৃষ্টির উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।