করোনা ভাইরাস নিয়ে এখনই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করার মতো অবস্থা আসেনি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধানোম গেব্রিসাস বলেন, চীনে অবশ্যই গুরুতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে বৈশ্বিকভাবে এখনও জরুরি অবস্থা জারি করার মতো সময় আসেনি।
এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে মূলত চীনের উহান শহর থেকে। চীন ছাড়াও থাইল্যান্ডে দুইজন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানে একজন করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই চীনের উহান শহর থেকে নিজ দেশে ফিরেছিলেন । এখন পর্যন্ত ২৫ জন ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
টেড্রোস আধারোম বলেন, আগের দিনের মতোই তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। আমরা এথনও এর উৎস সম্পর্কে জানি না এবং এর পরিণাম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণাও নেই। এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচও’র কাছে ৫৮৪ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।
২৩ জানুয়ারি চীন, জাপান, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে। ২২ জানুয়ারি জরুরি কমিটির সদস্যরা আলোচনা করেন যে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থান জারি করা হবে কী না। তবে এখনও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি তারা।
জরুরি অবস্থা জারি না করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, কমিটির সদস্যরা এই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন।
এর আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবাইকে নিয়মিত হাত ভালোভাবে ধোয়া নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েচিলো। হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা এবং ঠান্ডা ও ফ্লু আক্রান্ত মানুষ থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছে তারা। এশিয়ার বহু অংশের মানুষ সার্জিক্যাল মুখোশ পরা শুরু করেছে। আপাতত প্রতিকার হিসেবে এ ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ডাক্তারদের পরামর্শ, বারবার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা ও ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা।