‘কেজরিওয়াল পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের বিরিয়ানি খাওয়ায়, আমরা বুলেট খাওয়াই’

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারণা শুরু করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শনিবার প্রচারণায় যোগ দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে চড়াও হয়েছেন তিনি। কাশ্মিরি বিক্ষোভকারীদের পাকিস্তানি সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘কংগ্রেস আর কেজরিওয়াল তাদের বিরিয়ানি খাইয়েছে কিন্তু আমরা তাদের বুলেট খাইয়েছি’।উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার দিনভর কারাওয়াল নগর, আদর্শ নগর, নরিলা এবং রোহিনি এলাকার চারটি সমাবেশে যোগ দেন যোগী আদিত্যনাথ। একটি সমাবেশে তিনি কাশ্মিরি বিক্ষোভকারীদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আগে পাথর নিক্ষেপকারীরা পাকিস্তানের কাছ থেকে টাকা নিতো আর সরকারি সম্পদ নষ্ট করতো। কেজরিওয়ালের দল ও কংগ্রেস তাদের সমর্থন দিতো। কিন্তু স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর সেসব বন্ধ হয়ে গেছে। একইভাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদেরও নরকে পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের সেনারা।’

সমাবেশে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘কেজরিওয়াল মেট্রো চান না, বিশুদ্ধ পানি বা বিদ্যুৎ চান না তিনি কেবল শাহিনবাগ চান। ফলে আপনাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা মেট্রো, সড়ক নেবেন নাকি শাহিন বাগ নেবেন। কেজরিওয়াল বিক্ষোভকারীদের বিরিয়ানির টাকা দেবে কিন্তু উন্নয়নের জন্য দেবে না’।

দিল্লির পূর্বাঞ্চলীয় কারাওয়াল নগর চকে এক নির্বাচনি সমাবেশে যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেন, নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ করছেন তারে পূর্বসূরীরাই ১‌৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের নেপথ্যে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় যে সব বিক্ষোভ হচ্ছে তার কারণ সিএএ নয়। এই বিক্ষোভকারীরা ভারতের বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠা ঠেকাতে চায়। তাদের পূর্বসূরীরাই ভারত ভাগ করেছে, সেকারণে তারা আমাদের এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত হিসেবে উত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে’।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভরত নারীদের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেন, পরিবারের পুরুষ সদস্যরা তাদের জোর করে ঠাণ্ডার মধ্যে বাইরে বসে থাকতে বাধ্য করছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির বিধানসভার নির্বাচন। বিগত নির্বাচনে আম আদমি পার্টির কাছে বিপুলভাবে পরাজিত হয় বিজেপি ও কংগ্রেস।