চীনে করোনা ভাইরাসে প্রথম বিদেশির মৃত্যু

করোনা ভাইরাসে চীনে প্রথমবারের মতো এক বিদেশির মৃত্যু হয়েছে। ৬০ বছরের ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেইজিং-এ নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস থেকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।noname
দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, চীনের যে শহর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, সেই উহানে গত বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ওই মার্কিন নাগরিকের।

দূতাবাসের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে পারি যে, ৬০  বছরের একজন মার্কিন নাগিরক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উহানের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাই।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট ৭২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৪৬ জনে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীল বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এক পর্যায়ে এ ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। চীনের বাইরে ফিলিপাইনে এতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তিও চীনা নাগরিক।

প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়। ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য হুবেই প্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চীন। ওই অঞ্চলের সঙ্গে চীনসহ বাইরের দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রিয়াসাস। বহু দেশেই করোনা ভাইরাস শনাক্তের পদ্ধতি না থাকাই বড় দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তাদের সেবা নিশ্চিতে দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানো ঠেকাতে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’ সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।