ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে জানলে বাংলাদেশ অর্ধেক ফাঁকা হয়ে যাবে: ভারতীয় মন্ত্রী

ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে জানলে বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ দেশ ছেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হায়দ্রাবাদে সন্ত রবিদাস জয়ন্তী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে কীভাবে গেছে তা প্রমাণ করতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। বিতর্কিত এই আইনে প্রতেবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে আইনটিকে বৈষম্যমূলক অভিহিত করে ভারতজুড়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।

রবিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জে কিষাণ রেড্ডি বলেন, ‘ভারত নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ অর্ধেক ফাঁকা হয়ে যাবে। অর্ধেক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে চলে আসবে যদি ভারত নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেয়। দায় কে নেবে? কে চন্দ্র শেখর রাও? নাকি রাহুল গান্ধী?’ তিনি বলেন, ‘তারা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। ঠিক আছে, ভারত সরকার সিএএ পর্যালোচনা করতে রাজি আছে।’

মানবিক কারণে নিপীড়িত সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে দাবি করে রেড্ডি অভিযোগ করেন, চন্দ্রশেখর রাও-এর তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) ও তাদের মিত্র দল অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, আমি টিআরএসকে অনুরোধ করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করছি। এমনকি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে প্রয়োজনে তিনি প্রমাণ করে দেখান, দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের মধ্যে একজন ব্যক্তিও সিএএ-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীরা এক নয় জানিয়ে জে কিষাণ রেড্ডি বলেন, কংগ্রেসের মতো দলগুলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। তিনি দাবি করেন, কোনও কোনও শরণার্থী ন্যূনতম কোনও সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই গত ৪০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছে।