চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০১৬, আক্রান্ত ৪২ হাজার

চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে, ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১৬ জনে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪২ হাজার ৬৩৮ জন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

693f24e91bea419e87f978300917bb9e_18

মঙ্গলবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সোমবার চীনে মারা গেছে ১০৮ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৭৮ জন। তাদের বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।

করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে চীনে বিশেষজ্ঞ তদন্ত দল পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানোম বলেন, ‘চীনে কখনও ভ্রমণ করেননি এমন মানুষের মধ্যেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারটি উদ্বেগজনক। আর এটা ‘কেবল শুরু’ হতে পারে। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে।’  
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান আরও বলেন, ‘একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার জন্য স্ব দেশকে করোনা ভাইরাসের জন্য তৈরি থাকতে হবে। এর অর্থ হল দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি ব্যবস্থা তৈরি রাখা, বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবস্থা রাখা যা জনস্বাস্থ্যের প্রয়োজনে লাগবে।’ তিনি বলেন, চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা ধীরগতিতে দেখা যাচ্ছে। তবে তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেগুলোকে যদি কোনভাবে লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে এই ভাইরাস জয়ী হবে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৮টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে এতে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফিলিপাইনের ওই ব্যক্তিও চীনা নাগরিক।

প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য হুবেই প্রদেশকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চীন। ওই অঞ্চলের সঙ্গে চীনসহ বাইরের দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।