সন্দেহভাজন ইরানি অস্ত্র আটকের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

আরব সাগর থেকে ১৫০টি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রসহ বেশ কিছু অস্ত্র জব্দের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাল তোলা নৌকায় অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র জব্দ করে নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ। এসব অস্ত্রের নকশা ও উৎপাদন ইরানের বলে ধারণার কথা জানিয়েছে তারা। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি তেহরান।noname

জাতিসংঘে গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া নিজ দেশের বাইরে অস্ত্র সরবরাহ, বিক্রি বা স্থানান্তর করতে পারে না ইরান। গত বছর মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ফরেস্ট শারম্যান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের যন্ত্রাংশ জব্দের পর সেগুলো ইরান সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করে। গত বছরের নভেম্বরে আরব সাগরে একটি নৌকা থেকে সেগুলো জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার মার্কিন সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন জব্দ করা অস্ত্রের সঙ্গে গত বছরের নভেম্বরে পাওয়া অস্ত্রের মিল রয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আরব সাগরে একটি নৌকায় অভিযান চালায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নরম্যান্ডি। সেখান থেকে জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১৫০টি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (এটিজিএম) দেহলভি। এগুলো রাশিয়ার কর্নেট এটিজিএম-এর ইরানি সংস্করণ। এছাড়া জব্দ করা অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জামগুলোর নকশা এবং উৎপাদনও ইরানের। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য তিনটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র।  

গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অস্ত্র জব্দের পর দাবি করেছে সেগুলো ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করেছে তেহরান। জাতিসংঘের এক প্রস্তাব অনুযায়ী হুথি বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ নিষিদ্ধ করে রেখেছে ইয়েমেন।

নিষেধাজ্ঞার কারণে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা স্থানীয়ভাবে অস্ত্র উৎপাদন করে। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও পাচার করে সংগ্রহ করা যন্ত্রাংশ। মিত্র দেশ ইরান বা অন্য কোথাও থেকে এসব যন্ত্রাংশ পাচার করে আনে হুথি যোদ্ধারা। দীর্ঘদিন ধরে চলা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার আঞ্চলিক ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।