‘চীনের এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারে বাংলাদেশ’

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য উত্তেজনায় বাংলাদেশের সামনে যে সুযোগ তৈরি হয়েছিলো তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ব্যবসায়িক কর্মকর্তারা মনে করছেন বাংলাদেশে প্রচেষ্টা একেবারেই বিফলে যায়নি। বরং করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লাভবান হবে। 

48424448_10156440963309807_1617873038911471616_o-e1545243242566-1140x684

করেনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনা পণ্যের বাজার কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মার্কিন শুল্ক বসানোর কারণে এমনিতেও অর্থনৈতিকভাবে বিপাকে রয়েছে তারা। এতে যে বাংলাদেশের জন্য লাভ হচ্ছে গত সপ্তাহে লাস ভেগাসে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। সেখানে আয়োজিত এক সম্মেলনে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি সবার আগ্রহ দেখা গেছে।

দ্বিবার্ষিক ওই সম্মেলনের নাম ম্যাজিক। সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্টল থাকে। তবে এবার চীনের ৬০০টি স্টল বাতিল করা হয়। লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশের বাণিজ্য পরামর্শক আল মামুন বলেন, ‘এটা একটা ঝড়ের মতো ছিলো। হুট করেই মার্কিন ক্রেতারা বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছেন। সেদিন অনেক বাংলাদেশি বিক্রেতা পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।’

মামুন মনে করেন, ৯/১১ এর ঘটনা যেমন প্রভাব রেখেছিলো। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিও তেমন প্রভাব রাখবে। তিনি বলেন, ‘যখন টুইন টাওয়ারে বিমান আঘাত আনে, তখনও কেউ ভাবতে পারেনি যে এটা কিভাবে পুরো বিশ্বকে পাল্টে দেবে। আমি আবারও তেমন প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। এর এখানে হয়তো বাংলাদেশ লাভবান হবে।’

ম্যাজিক এর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান ক্রিস গ্রিফিন বলেন, চীনের দুর্ভাগ্য হয়তো অন্যান্য দেশের জন্য পথ তৈরি করবে। সাপ্লাই চেইন আসলে এভাবেই চলে। 

চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় বাংলাদেশ লাভবান হতে পারেনি। সেটার লাভ নিয়েছে ভিয়েতনাম। তবে এবার বাংলাদেশের সামনে সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মামুন। তিনি বলেন, গার্মেন্টসখাতে তরুণদের অংশগ্রহণে আশার সঞ্চার হয়েছে। মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে তারা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছে।

তবে এখনও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এখন চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য যেতে ২০ দিন লাগে। এই যুগে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের বানিজ্য পরামর্শক সেলিম রেজা বলেন, আমাদের জন্য দাম বড় চ্যালেঞ্জ।