ইরাকে রকেট হামলায় মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাসহ নিহত অন্তত ৩

মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর সেনা অবস্থান থাকা ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে একাধিক রকেট হামলা চালানো হয়েছে। বুধবারের এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। এর আগে সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এই হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ ও একজন মার্কিন সেনা রয়েছে। এছাড়া অপর এক মার্কিন ঠিকাদারও নিহত হয়। তবে এসব হতাহতের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি বলে খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।noname

ইরাকের একজন সামরিক কমান্ডার জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে এনিয়ে ২২তম বার যুক্তরাষ্ট্রের সেনা স্বার্থে হামলার ঘটনা ঘটলো। বুধবার রাতে ইরাকের ক্যাম্প তাজিতে রকেট হামলা চালানো হয়। ইরাকের মার্কিন সেনা মুখপাত্র কর্নেল মাইলস ক্যাজিনস এক টুইট বার্তায় জানান, অন্তত ১৫টি ছোট রকেট ওই ঘাঁটিতে আঘাত হানে। তবে এর বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন তিনি।

বাগদাদের উত্তরে অবস্থিত ক্যাম্প তাজি বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রশিক্ষণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে ইরাকে প্রায় ছয় হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মিশনে ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার কথা বলে এখনও সেখানে নিজেদের সেনা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে ইরাকে মার্কিন সেনা, দূতাবাস ও স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো রকেট হামলায় এক মার্কিন ঠিকাদার ও এক ইরাকি সেনা নিহত হয়। এসব হামলার দায় কেউই স্বীকার করেনি। তবে এসবের জন্য ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে থাকে ওয়াশিংটন।

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে এক রকেট হামলায় এক মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার দুই দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইরানপন্থী কাতাইব হিজবুল্লাহর পাঁচটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। ইরাক ও সিরিয়ার এসব ঘাঁটিতে হামলায় গোষ্ঠীটির বেশ কয়েক জন যোদ্ধা নিহত হয়। এর কয়েক দিনের মাথায় বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী সেনা কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায় ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র।