বিমান জীবাণুমুক্ত করছে ইরান

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে বিশ্বে যে কয়েকটি দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার একটি ইরান। এ ভাইরাসে চীন ও ইতালির পর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারস ডট ইনফো'র হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় ১২ মার্চ পর্যন্ত ইরানে এ ভাইরাসে ৪২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তেহরান। নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনের পাশাপাশি বিমান ও বিমানবন্দরগুলোকেও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।12
ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে-র খবরে বলা হয়েছে, সরকারি নানা উদ্যোগের ইরানে নতুন করে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যেও অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ৭০ হাজার কয়েদিকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয় তেহরান। ইরান সরকারের আইন বিষয়ক প্রধান এব্রাহিম রাইসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ার পর এই কয়েদিদের পুনরায় কারাগারে ফিরতে হবে কিনা তা জানানো হয়নি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ওষুধ আমদানিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে ইরান। দেশটির তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানে বলেছেন, ইরান এখন করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করছে। একটি কঠিন সময় যাচ্ছে। এরপরও মার্কিন বিদ্বেষমূলক আচরণের অবসান ঘটছে না। তারা বর্তমান পরিস্থিতিতেও অন্যায় আচরণ অব্যাহত রেখেছে। ইরানের তেল ও তেলজাত পণ্য,  আয়রন ও কপারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কঠোর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওষুধ আমদানিতেও বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানিরা এ কঠিন সময়ের কথা কখনও ভুলবে না।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, আমেরিকা অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি চিকিৎসা খাতেও সন্ত্রাসবাদ শুরু করেছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা কাম্য নয়। টুইটারে দেওয়া পোস্টে জাওয়াদ জারিফ বলেন, ইরানি জনগণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। আর তেহরান যাতে এই প্রাণঘাতী রোগ মোকাবিলা করতে না পারে সেজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‌ইরানের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেছেন। এর ফলে ইরান করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ আমদানি করতে পারছে না। সূত্র: পার্স টুডে, ব্লুমবার্গ।