মোদির আহ্বানে সাড়া দিলেন ইমরান খান

কথায় আছে শত্রুর শত্রু কখনও কখনও বন্ধু হয়। আর এই মুহূর্তে পুরো দুনিয়ার সাধারণ শত্রু করোনা ভাইরাস। ভারতে সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত ৮৪ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানে অন্তত ৩০ জন আক্রান্ত হলেও সেখানে এখনও কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এমন পরিস্থিতিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার তার ওই আহ্বানের একদিনের মাথায় এতে সম্মতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইসলামাবাদ জানিয়েছে,  করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে তারা  প্রস্তুত রয়েছে।

শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘পাকিস্তান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে একযোগে লড়াই চালানোর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে।’

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারীকে মোদি-র প্রস্তাবিত ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিতে বলেছেন।

টুইটে বলা হয়, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে একসঙ্গে লড়াই চালানো দরকার। প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী সার্কের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবেন।

এর আগে শুক্রবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে মোদি বলেন, ‘আমি সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব রাখছি করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে শক্তিশালী কৌশল নির্ধারণ করা হোক। নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারি।’

তিনি লিখেছেন, ‘একজোট হয়ে আমরা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ তৈরি করতে পারি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত বিশ্ব গড়ে তুলতেও বড় ভূমিকা রাখতে পারি।’

সার্কভুক্ত আট দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যেই মোদির ওই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। কিন্তু একদিন সময় নেওয়ায় পাকিস্তানের এতে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে শনিবার এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ইসলামাবাদ। সূত্র: এনডিটিভি।