করোনা ভাইরাস: আরও কঠোর হচ্ছে ইউরোপের নিয়ন্ত্রণ

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নতুন করে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্হি সীমান্ত মঙ্গলবার থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।  মুদি দোকান বাদে জার্মানির বেশিরভাগ দোকান ও ভেন্যু বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভাইরাসটি ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বিস্তৃত করছে ইউরোপের দেশগুলো।noname

উৎপত্তিস্থল চীনের পর করোনা ভাইরাসের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইউরোপ। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজারের বেশি। মারা গেছে ছয় হাজার সাতশোরও বেশি মানুষ। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান (ডব্লিউএইচও) টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, এই বৈশ্বিক মহামারি ঠেকাতে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকারগুলো। সন্দেহভাজন সব রোগীকে পরীক্ষার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার এক টেলিভিশন ভাষণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রন। স্কুল, ক্যাফে, জরুরি নয় এমন দোকান আগেই বন্ধ করে দেওয়া হলেও তা যথেষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা পরিস্থিতির তীব্রতার বিষয়ে সতর্ক করার পরও পার্ক, ও বাজারে মানুষদের জড়ো হতে দেখছি। রেস্টুরেন্ট ও বারগুলো বন্ধের নির্দেশ মানছে না। আগামী ১৫ দিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, না মেনে চললে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। ইতালি ও স্পেনের মতো নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য রক্ষার যুদ্ধে আছি’।

জার্মানিতে ক্লাব, বার, অবকাশ কেন্দ্র, চিড়িয়াখানা, খেলার মাঠ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। নির্দিষ্ট সময়ে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা গেলেও টেবিলগুলোর মাঝে নুন্যতম দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সবাই যত তাড়াতাড়ি এসব নিয়ম মেনে চলবে, তত তাড়াতাড়ি আমরা এই ধাপের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।

এছাড়া সোমবার মধ্যরাত থেকে স্থল সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে স্পেন। ওই সময়ের পর কেবলমাত্র, নিজেদের নাগরিক, বাসিন্দা ও বিশেষ ক্ষেত্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। ইতালির প্রধানমন্ত্রীন গুইসেপ কন্তে বলেছেন, ভাইরাসটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মারাত্মক ও বিস্তৃত নহবে। তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের পর কোনও কিছুই আগের মতো থাকবে না, আমাদের বসতে হবে এবং বাণিজ্য ও মুক্ত বাজারের নিয়মগুলো নতুন করে লিখতে হবে’।