ভারতে লকডাউন ঘোষণার পর কেনাকাটার হিড়িক

 করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতজুড়ে ২১ দিনের জন্য কারফিউ ধাঁচের লকডাউন ঘোষণা করার পর সেদেশের বিভিন্ন মুদি দোকান ও ওষুধের দোকানে ভিড় জমায় মানুষ। চোখে মুখে উদ্বেগ নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত করার জন্য মানুষের হুড়োহুড়ি লেগে যায়। জরুরি সামগ্রী পাওয়া যাবে বলে সরকারের দেওয়া আশ্বাস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।


12ভারতে সরকারি হিসাবেই এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৯। এর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার এ নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মোদি।মোদি জানান, ২৫ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ভারতের কোনও নাগরিকের বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত হবে না।

২১ দিন দীর্ঘ সময়। কিন্তু এই লকডাউন না মানলে দেশ ২১ বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এমন অনুরোধ করছি। এই কয়েকটা দিন বাইরের জীবন ভুলে যান।’

প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, “করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র...নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির সরবরাহ জারি রাখতে আমরা সবরকম পদক্ষেপ করেছি”। তবে প্রতিবেশি বা পাড়ার মুদির দোকান, ডিমের ট্রে এবং ডালের প্যাকেটের মতো সামগ্রি নিয়ে বচসা লেগে যায়। ময়দা, চাল মেলেনি অনেক দোকানেই, অন্যদিকে, রাজ্য কড়াকড়ি করে দেওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় মজুত কর রাখার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওষুধের দোকানে দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন।

কিছুক্ষণ পরেই একাধিক ট্যুইট করে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে সরকার তার প্রতিশ্রুতি কীভাবে পালন করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। গত চারদিন ধরে, দিল্লিতে লকডাউন ঘোষণার পরেই, বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি দোকানও বন্ধ দেখা গেছে।