যুক্তরাজ্যের আরেক মন্ত্রীর করোনার উপসর্গ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার আরেক সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের মৃদু উপসর্গ বা লক্ষণ ধরা পড়েছে। অ্যালিস্টার জ্যাক নামের ওই মন্ত্রী দেশটির স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে এ ভাইরাসের লক্ষণ ধরা পড়ার পর বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছা আইসোলেশনে রয়েছেন। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।noname

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স চার্লস, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হানকক ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বুধবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর সংস্পর্শে এসেছিলেন অ্যালিস্টার জ্যাক। পরে ৫৫ বছরের বরিস জনসনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে স্কটল্যান্ডে সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন বর্তমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ দম্পতির জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিন্স চার্লস। রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার শরীরে এ ভাইরাসের সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে। তবে এর বাইরে সামগ্রিকভাবে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। গত কয়েকদিন ধরে তিনি যথারীতি বাড়ি থেকে কাজ করছেন।

এক টুইট বার্তায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হানকক বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে আমার উপসর্গগুলো মৃদু এবং বাড়িতে ও স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জীবন রক্ষায় আমাদের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার পরামর্শ মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।’

যুক্তরাজ্যের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস হুইটি এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক পরামর্শক প্যাট্রিক ভ্যালান্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্রিটিশ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ে তারা দুজনেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হানককের সঙ্গে গত সপ্তাহে নিয়মিত বৈঠক করেছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

২৮ মার্চ শনিবার রাতে জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে এক হাজার ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৩৫ জন।