করোনা আতঙ্ক: যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক হাজার বন্দির কারামুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের মুখে কয়েক হাজার কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

noname

করোনায় আক্রান্ত দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখন শীর্ষে। সেখানে এক লাখেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে সেখানকার কারাগারগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ২০টি কারাগার যেসব শহর ও কাউন্টিতে অবস্থিত সম্প্রতি সেগুলোর ওপর জরিপ চালিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে দেখা গেছে, গত ২২ মার্চ থেকে ২২৬ কয়েদি ও ১৩১ জন স্টাফ নিশ্চিতভাবে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি বিচারপতি, পাবলিক ডিফেন্ডার, প্রসিকিউটর ও কখনও কখনও রাজনৈতিক আদেশ দ্বারা পরিচালিত হয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউ জার্সির প্রধান বিচারপতি কারাগারে মৃত্যু ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে এক হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে গত সপ্তাহ থেকে প্রায় ৪৫০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির কর্তৃপক্ষ। এই বন্দিরা ২৮ হাজার ৩০০ মানুষকে হত্যা করেছিল। এর মধ্যে দুই হাজার ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই হত্যা করা হয়েছিল।


গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কের কর্তৃপক্ষ রাজ্যের কারাগারগুলো থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তির জন্য ছোটখাট প্যারোল লঙ্ঘনকারী এক হাজার ১০০ জনকে শনাক্ত করেছে। নিউ ইয়র্কের মেয়রের একজন মুখপাত্র কলবি হ্যামিলটন জানিয়েছেন, শিগগিরই আরও কয়েকশ’ কয়েদিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি কমপক্ষে এক হাজার ৭০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে যাদের ৩০ দিনেরও কম সাজা বাকী রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারা কাউন্টি কর্তৃপক্ষ সাজা প্রদানে বিলম্ব ও অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে ৪০০ জনকে মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত এর মধ্য দিয়ে বন্দির সংখ্যা কমাতে চাইছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতেও বন্দি সংখ্যা অন্তত ৫০০ কমানো হয়েছে।

কিছু কাউন্টিতে ছোটখাট অপরাধের জন্য পুলিশ লোকজনকে গ্রেফতারের বদলে তাদের তলব করছে। তবে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বাইরে থেকে আগত অফিসারদের নিয়মিত বদলানোর ফলে কারাগারগুলোতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।