আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে যেসব দেশে

দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় ৪ এপ্রিল শনিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তিনটি দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেন।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৭৩ হাজার ৮৮০। এরমধ্যে সাত হাজার ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ জন। এরমধ্যে ১৪ হাজার ৬৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৯ জন। এরমধ্যে ১১ হাজার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৫১১। এরমধ্যে তিন হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে চীনের বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপনের অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) সন্দেহ প্রকাশ করবে।’

সমালোচনার মুখে নতুন সংক্রমণ গোপন না করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি খোয়াচিয়াম। গত ২৩ মার্চ কর্মকর্তাদের প্রতি দেওয়া তার এ সংক্রান্ত ভাষণ পরদিন ২৪ মার্চ সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। লি খোয়াচিয়াম বলেন, স্বচ্ছতার মানে হচ্ছে নতুন কেউ আক্রান্ত হলে অবশ্যই তা রিপোর্ট করা উচিত। যা ঘটেছে তাই বলা উচিত। কোনও কিছু অবশ্যই ধামাচাপা দেওয়া হবে না।

এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারি এখনও সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাত কবলিত দেশগুলোতে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

৩ এপ্রিল শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘ভাইরাসটি দেখিয়ে দিয়েছে কত দ্রুত তা সীমান্ত পার হতে পারে, দেশ বিধ্বস্ত করে দিয়ে জীবন কেড়ে নিতে পারে।’ করোনা মহামারি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি সহায়তা দিতে উন্নত দেশ এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস।