একদিনের মাথায় মোদিকে 'ভালো মানুষ' বললেন ট্রাম্প

হুমকি দিয়েছিলেন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পাঠালে ভুগতে হবে ভারতকে। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ভারত ওষুধ ছাড় করতেই তিনি বললেন, মোদি খুব ভালো মানুষ। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তার আগে জাহাজবোঝাই ভারতীয় ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

noname

মঙ্গলবারই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না পাঠালে ফল ভুগতে হবে ভারতকে। তিনি বলেছিলেন, “মোদির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করি তিনি ওষুধের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। তবে তিনি যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, আমেরিকা পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না।” তার হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকায় ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করে ভারত।

সোমবার রাতে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমি বিপুল পরিমাণে কিনেছি (হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন)। দুই কোটি নব্বই লাখেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল; ওষুধের একটা বড় অংশ আসছে ভারত থেকে। আমি তাকে বলেছিলাম আমাদের কিছু ওষুধ দেওয়া যায় কিনা। তিনি মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি সত্যিই ভালো মানুষ। 

এদিকে পিটিআই জানাচ্ছে, গুজরাটের তিন কারখানা থেকে জাহাজবোঝাই ওষুধ পাড়ি দিয়েছে আমেরিকার উদ্দেশে। বুধবার সকালেই ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এখনও মোদি যদি এই ওষুধ রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা না তোলেন খুব আশ্চর্য হবো।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে এই মুহূর্তে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আমেরিকার। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে এমনটাই মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাই আমেরিকায় এই ওষুধের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে।
সারা বিশ্বের মধ্যে ৭০ শতাংশ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন উৎপাদন করে ভারত। আমেরিকার ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডও এই ওষুধকে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় ছাড় দিয়েছে। তবে গত ২৫ মার্চ এই ওষুধ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, এখন থেকে শুধু মানবিক কারণে এবং আপৎকালীন প্রয়োজনেই এই ওষুধ রফতানি করা যাবে।