ভারতে ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।ফাইল ছবি

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বুধবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারতে এ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৫৫। এর মধ্যে ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবারই দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তিনি বলেছেন, কোন কোন অঞ্চলে এই ভাইরাস বেশিমাত্রায় সংক্রমণ ঘটাচ্ছে আর কোন কোন অঞ্চল এখনও পর্যন্ত তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে আগামী কয়েকদিন কঠোরভাবে সে বিষয়ে নজরদারি করা হবে। যদি দেখা যায় যেখানে যেখানে সংক্রমণের মাত্রা কম সেই অঞ্চলগুলোতে আর নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না তাহলে ২০ এপ্রিলের পরে সেখানে লকডাউনের বিধিনিষেধ কিছুটা লাঘব করা হতে পারে।

ভারতে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। সরকারি হিসাবেই রাজ্যটিতে দুই হাজার ৬৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে এক হাজার ৫৬১ এবং এক হাজার ২০৪।

মঙ্গলবার গুজরাটে একজন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী ও অন্য দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। পরে ওই বিধায়কের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

ইমরান খেদাওয়ালা নামের ওই কংগ্রেস বিধায়ক এক সাংবাদিক সম্মেলনেও যোগ দেন। সেখানে অন্যান্য বিধায়ক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে অন্যরাও আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।

এদিকে মঙ্গলবার লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণার পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে মুম্বাই। লকডাউনের বিরোধিতা করে বাণিজ্য নগরীর বান্দ্রা স্টেশনের বাইরে সহস্রাধিক অভ্যন্তরীণ অভিবাসী শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হোক। এক পর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সূত্র: এনডিটিভি।