আরও ভয়ঙ্কর মহামারি আসতে পারে: শীর্ষ বিজ্ঞানীদের হুঁশিয়ারি

করোনাভাইরাসের মহামারির মূল কারণ অনবরত প্রকৃতি বিনাশ দ্রুত বন্ধ না হলে আরও প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক মহামারি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্বের এক দল শীর্ষ বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, ‘সাম্প্রতিক মহামারি মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ পরিণতি, বিশেষ করে বিশ্বের আর্থিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যা যেকোনও মূল্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনতে চায়।’ সোমবার প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই সংকট থেকে উত্তরণের ছোট একটি সুযোগ আছে আর তা হলো প্রকৃতি বিনাশ বন্ধ করা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।noname

এখন পর্যন্ত বিশ্বে জুড়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ২০১৯ সালে ইন্টারগভর্নমেন্টাল সাইন্স-পলিসি প্লাটফর্ম অন বায়োডারভার্সিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস (আইপিবিইএস)-এ। এর নেতৃত্ব দেন প্রফেসর জোসেফ সেটেলি, সান্দ্রা ডায়াজ এবং এডুয়ার্ডো ব্রোনদিজিও। এই বিজ্ঞানীরা সোমবার ড. পিটার দাসজাকের সঙ্গে মিলে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। আইপিবিইএস-এর পরবর্তী মূল্যায়ন প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ড. পিটার দাসজাক।

সোমবার প্রকাশিত নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘অনবরত বন বিনাশ, অনিয়ন্ত্রিত কৃষি ও খামার সম্প্রসারণ, খনি ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বণ্য প্রজাতির বিনাশ রোগ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে নিখুঁত গতি তৈরি করেছে।’ এসব কর্মকাণ্ড মানুষকে আরও বেশি প্রাণীর সংস্পর্শে এনেছে আর এর কারণেই মহামারির সুযোগ তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন প্রাণীর সংস্পর্শ থেকেই মানুষের ৭০ শতাংশের বেশি রোগ সৃষ্টি হয়। নগরায়ণ এবং বিমান ভ্রমণ বাড়ায় এসব রোগ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে বলেও সতর্ক করেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘আজকের দিনে আমাদের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে যদি আমরা চূড়ান্ত রকমের সতর্ক না হই, তাহলে ভবিষ্যতের মহামারি আরও ঘনঘন হতে পারে, আরও দ্রুত ছড়াতে পারে, আরও মারাত্মক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে এবং আরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে।’ বিভিন্ন দেশের সরকার ঘোষিত কোটি কোটি ডলারের সংস্কার প্যাকেজের অর্থ পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যয় করার আহ্বান জানান বিজ্ঞানীরা।