শিক্ষক থেকে ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী’ রিয়াজ নাইকু

কাশ্মিরে ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী’ ও বিদ্রোহী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার রিয়াজ নাইকু নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এক অভিযানে নিহত এই হিজবুল কমান্ডার ১১টি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভারতের। ২০১৬ সালে নিহত আরেক হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী রিয়াজের মাথার মূল্য ১২ লাখ রুপি নির্ধারণ করে ভারত সরকার। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডার রিয়াজ নাইকু

কাশ্মিরের দক্ষিণাঞ্চলে জন্ম ৩২ বছর বয়সী রিয়াজ নাইকুর। পুলওয়ামা জেলার একটি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্নাতক শেষে ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। ইসলামিক বিষয়ে বক্তব্য দিতেন তিনি। ২০১২ সাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ইয়াসিন ইত্তুর মৃত্যুর পর কাশ্মিরে হিজবুল মুজাহিদিনের হেড অব অপারেশন নিযুক্ত হন রিয়াজ নাইকু।  

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো রিয়াজ নাইকুকে সবচেয়ে অভিজ্ঞ হিজবুল কমান্ডার বলে অভিহিত করে থাকে। তাকে অত্যন্ত প্রযুক্তিবান্ধব বলেও মনে করা হয়। তরুণদের হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিতে উৎসাহী করায় তার ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়।

ভারতীয় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রিয়াজ নাইকু তরুণদের অস্ত্র হাতে তুলে নিতে উৎসাহ দিতেন। পুলিশ বাহিনীর বিশেষ কর্মকর্তাদের হত্যাসহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট ঘটনায়ও তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে তাদের পদত্যাগের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

২০১৮ সালে একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে পড়ে। ওই ক্লিপে দুই ব্যক্তির কথোপকথনের একটি কণ্ঠ রিয়াজ নাইকুর ছিল বলে ধারণা করা হয়। এতে ওই সময়ে অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা লাইনে দাঁড়াচ্ছে তাদের চোখে এসিড ঢেলে দেওয়ার নির্দেশ দিতে শোনা যায় তাকে।