ব্রাজিলের বৃহত্তম শহরের স্বাস্থ্যসেবা পতনের মুখে

ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলো-র স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বেডের চাহিদা বাড়ছে। পুরো স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পতনের মুখে দাঁড়িয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ব্রুনো কোভাস।

ব্রুনো কোভাস বলেন, সরকারি হাসপাতালের ৯০ শতাংশই এখন পরিপূর্ণ। সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর এগুলোতে আর জায়গা থাকবে না।

সাও পাওলো ব্রাজিলের অন্যতম করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা। সেখানে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

শনিবার ইতালি ও স্পেনকে টপকে চতুর্থ করোনা আক্রান্ত দেশে পরিণত হয় ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে করোনা পরীক্ষার হার কম। এজন্য বাস্তবতার চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হচ্ছে। যথাযথ পরীক্ষা হলে আরও অনেক বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হতো।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শনিবার ব্রাজিলের কর্মকর্তারা দেশটিতে করোনার যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তাতেই আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে দেশটির অবস্থান ছিল চার নম্বরে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের অর্থনীতি ফের সচল করতে মরিয়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহারে ব্যাপক আগ্রহী ট্রাম্পের এই ব্রাজিলিয়ান ভক্ত। তার নীতির কারণে বিদ্যমান করোনা মহামারির মধ্যেই মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন অন্তত দুই জন মন্ত্রী। শুক্রবার দ্বিতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বলসোনারো-র কেবিনেট ছেড়ে যান।