করোনা সংকটের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক স্তরে আরও ঐক্যের উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার সংস্থাটির দুই দিনের বার্ষিক সম্মেলনে ছায়া ফেলছে কিছু বিষয়। এর মধ্যে বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের পুরনো বিবাদের বিষয়টিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে তাইওয়ানের সাফল্য গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। তাই সে দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছে অনেক দেশ। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ও প্রসার রুখতে ব্যর্থতার কারণে প্রবল সমালোচনার মুখে রয়েছে চীন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের লাগাতার আক্রমণের মুখে সে দেশের ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যকলাপের ওপরও এই সংঘাতের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ডাব্লিউএইচও সম্ভবত এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি। সংস্থাটির প্রধান এই সম্মেলনকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ওয়াশিংটন ও বেইজিং-এর সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্যের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগে সম্মেলনে একটি প্রস্তাব আনা হচ্ছে, যার আওতায় করোনা সংকটের ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও সার্বিক মূল্যায়নের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বেশি মানুষের জন্য পরীক্ষার সুযোগ, চিকিৎসার সরঞ্জাম, সম্ভাব্য চিকিৎসা ও টিকা আবিষ্কারের প্রচেষ্টার ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা সত্ত্বেও ইইউ এই প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ঐকমত্যের আশা করছে।
শুধু চীন নয়, করোনা সংকটকে কেন্দ্র করে ইইউ-র সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত দেখা যাচ্ছে। টিকা আবিষ্কৃত হলে সবার আগে সেটি হাতে পেতে চায় ওয়াশিংটন। অন্যদিকে ইইউ গোটা বিশ্বে যত দ্রুত সম্ভব সেই টিকা পৌঁছে দেওয়ার পথ খুঁজছে। সূত্র: ডিডব্লিউ।