আম্পানে লণ্ডভণ্ড পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনসহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিশাল এলাকা। এসব এলাকার উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। রাতভর তাণ্ডবের পর সকাল হতেই স্পষ্ট হতে থাকে এর ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। বহু বাড়ি, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ঝড়ের দাপটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।noname

কয়েক দশকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সবচেয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় আম্পান বুধবার বিকেল থেকেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে শুরু করে। এর আগে সুপার সাইক্লোন থেকে দুর্বল হয়ে মঙ্গলবার ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হয় আম্পান। সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ভারতের দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের উপমহাপরিচালক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডবের পর কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। রাত পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ২৪৪.২ মিলিমিটার। হাওয়া মে মাসে কলকাতায় এক দিনে এতো বৃষ্টিপাত আগে দেখা যায়নি।

উত্তর ২৪ পরগনায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে বসিরহাটে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সেখানকার প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। জেলায় প্রায় ১০ হাজার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। দমদম, বিরাটি, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসতের বহু এলাকায় খুঁটি উপড়ে বা ট্রান্সফর্মার ফেটে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। হাওড়ার বহু জায়গায় বাড়ি ভেঙেছে, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, কাঁথি মহকুমার কয়েক জায়গায় সমুদ্র বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। তাজপুর, জলধা, চাঁদপুর, লছিমপুরের মতো বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। দিঘায় একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে প্রচুর কাঁচাবাড়ির।