যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ চীনের

হংকং হিউম্যান রাইটস ও ডেমোক্র্যাসি অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হংকং সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করছেন বলে অভিযোগ করেছে চীন। বৃহস্পতিবার (২১ মে) মার্কিন প্রশাসনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সমতূল্য বলেও উল্লেখ করেছে বেইজিং। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

noname

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে ‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি অ্যাক্ট’ নামের একটি বিল পাস হয়। এতে অঞ্চলটির মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে মার্কিন সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।সেখানে বলা হয়, হংকং চীনের অংশ কিন্তু সেখানে আলাদা আইন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আছে। এই আইনে খতিয়ে দেখা হবে চীন হংকংয়ের নাগরিক স্বাধীনতা ও আইনে হস্তক্ষেপ করেছে কি না। এছাড়া আইনে হংকংকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হংকংয়ে পড়বে না।  হংকংয়ের বাসিন্দারা অসহিংস আন্দোলনের কারণে গ্রেফতার হলেও তাদের ভিসা সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার (২০ মে) পম্পেও বলেন, হংকং-এ গণতন্ত্রপন্থী অ্যাকটিভিস্টদের সঙ্গে সম্প্রতি যেমন আচরণ করা হয়েছে, তাতে এ অঞ্চলটি আদৌ চীনের নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হংকং কমিশনারের কার্যালয়ের মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, পম্পেওর কর্মকাণ্ড চীনা জনগণকে ভীত করতে পারবে না। নিজেদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত স্বার্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বেইজিং।

হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই অঞ্চলটি চীনের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। হংকংয়ের জনসংখ্যা প্রায় ৭৪ লাখ হলেও, ১২শ’ জনের একটি বিশেষ কমিটি নেতা বাছাইয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।