‘অলৌকিক বেঁচে ফেরা’র বর্ণনা দিলেন পাকিস্তানে বিধ্বস্ত বিমানের আরোহী

শুক্রবার পাকিস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের অন্তত ২ জন আরোহী প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাদেরই একজন মুহাম্মদ জুবায়ের। পেশায় প্রকৌশলী জুবায়ের শনিবার জিও নিউজের কাছে বর্ণনা করেছেন তার ‘অলৌকিক বেঁচে ফেরা’র গল্প। পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোর থেকে ছেড়ে আসা ওই বিমানটিতে ৯১ জন যাত্রী ও আট জন ক্রু ছিল।

noname

শুক্রবার ৯৯ জন আরোহী নিয়ে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি করাচি শহরে বিধ্বস্ত হয়। আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি দুইবার অবতরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ৯৭ জন নিহত হয়েছে। তবে তারা সবাই বিমানের যাত্রী নাকি এদের মধ্যে ওই আবাসিক এলাকা বাসিন্দা ছিলেন তা নিশ্চিত নয়।

বিমানে থেকেও ‘অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন’ মোহাম্মদ জুবায়ের। সামান্য আঘাত পেলেও তার শরীরে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি জিও নিউজকে বলেন, ‘আমরা কেউই ভাবিনি বিমানটি বিধ্বস্ত হতে যাচ্ছে। কারণ, অবতরণের সময় খুব মসৃণ গতিতে নামছিল সেটি।’

জুবায়ের বলেন, ‘চারদিকে কেবল ধোঁয়া আর আগুন দেখছিলাম। চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম চারপাশ থেকে। শিশু ও বয়স্ক সবাই আর্তচিৎকার করছিল। আমি শুধু আগুন দেখছিলাম। আমি কোনও মানুষ দেখতে পাচ্ছিলাম না, শুধু তাদের চিৎকার শুনছিলাম।’

জুবায়ের বলেন, ‘আমি আমার সিটবেল্ট খুলে ফেলি এবং কিছু আলো দেখতে পাই। আমি আলোর দিকে যাই। পরে আমি ১০ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দিই।’

করাচির সিভিল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে জুবায়ের বলেন, প্রথমবার অবতরণে ব্যর্থ হওয়ার প্রায় ১০ মিনিট পর পাইলট আরেকবার অবতরণের চেষ্টা করবেন বলে জানান। কিন্তু রানওয়ের দিকে যেতে যেতে এটা বিধ্বস্ত হয়।

সিন্ধু প্রাদেশিক সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিমানের বেঁচে যাওয়া আরেকজন যাত্রীর নাম হচ্ছে জাফর মাসুদ। তিনি ব্যাংক অব পাঞ্জাবের প্রেসিডেন্ট। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার অবস্থা ভালো। তিনি ‘চেতনার মধ্যেই আছেন এবং সাড়া দিচ্ছেন।’