করোনার আরও একটি সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু

মানব শরীরে করোনাভাইরাসের আরেকটি সম্ভাব্য টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মেরিল্যান্ড ভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানি নোভাভাক্স সোমবার এই পরীক্ষা শুরুর কথা জানিয়েছে।noname
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত অনুমোদিত ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধী টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে। বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন, নিরাপদ ও কার্যকর রোগ প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবনে ১২-১৮ মাস সময় লাগতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে করোনার টিকা উদ্ভাবনে মোট ১২টি গবেষণা চলছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৯টি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ১০ম টিকা হিসেবে নোভাভাক্স’র সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি প্রায় ১৩০ জন মানুষের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম এক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে এটি প্রয়োগ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশটির দুটি স্থানে এই টিকাটির পরীক্ষা চলছে।
এনভিএক্স-কোভ২৩৭৩ নামের টিকাটি প্রাক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় প্রচুর পরিমাণ নিষ্ক্রিয়করণ অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে উৎপাদক কোম্পানি।
নোভাভাক্স’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ফলাফল জোরালো প্রমাণ দিয়েছে যে এই সম্ভাব্য টিকাটি মানুষের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হবে, যা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দেবে আর এর মধ্য দিয়ে রোগটি ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সহায়তা দেবে।’ তবে এসব তথ্য কেবল বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। কোনও জার্নালে এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
নোভাভাক্স বলছে আগামী জুলাই মাসে নতুন টিকাটির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যাবে। ওই ফলাফল সন্তোষজনক হলে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর একাধিক দেশে আরও বহু সংখ্যক মানুষের দেহে টিকাটি প্রয়োগ করে এর নিরাপত্তা ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হবে।
ধাপে ধাপে সাফল্য পেলে দ্রুত গতিতে টিকাটি উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে নোভাভাক্স। কোম্পানিটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বছরের শেষ নাগাদ টিকাটির দশ কোটি ডোজ ও ২০২১ সালের মধ্যে একশ’ কোটি ডোজ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।