করোনা মহামারির নতুন ভরকেন্দ্র লাতিন আমেরিকা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, করোনাভাইরাসের মহামারির নতুন ভরকেন্দ্র লাতিন আমেরিকা। ওই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিতে নিষেধ করে দিয়েছেন ডব্লিউএইচও পরিচালক ও প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান ক্যারিসা এতিন্নে। এদিকে মার্কিন এক জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে, আগস্ট জুড়ে ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার অন্য দেশগুলোতে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।noname

লাতিন আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের। বুধবার এক ভিডিও কনফারেন্সে ডব্লিউএইচও পরিচালক ক্যারিসা এতিন্নে জানিয়েছেন, দৈনিক সংক্রমণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে লাতিন আমেরিকা।

ক্যারিসা এতিন্নে বলেন, আমাদের অঞ্চল কোভিড-১৯ মহামারির নতুন ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সামনে আরও কঠিন সপ্তাহ আসছে বলেও সতর্ক করেন তিনি। ব্রাজিলে মহামারি শেষ হতে এখনও অনেক বাকি বলেও জানান তিনি। এছাড়া পেরু, চিলি, এল সালভাদর, গুয়েতেমালা ও নিকারাগুয়ার মতো দেশগুলোতে প্রাদুর্ভাব বাড়ছে বলে জানান এতিন্নে।

বুধবার করোনাভাইরাসে বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ লাখ। সবচেয়ে বেশি মৃতের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে ওয়াশিংটনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে আগস্টের শুরুতে ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ওই জরিপে ব্রাজিলে কঠোর লকডাউনের তাগিদ দেওয়া হলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন দেশটির ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো।

ওই জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে, আগস্ট নাগাদ পেরুতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। চিলিতে ১২ হাজার, মেক্সিকোতে সাত হাজার, ইকুয়েডরে ৬ হাজার আর্জেন্টিনায় পাঁচ হাজার পাঁচশো ও কলম্বিয়ায় সাড়ে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে ওই গবেষণায়।

তবে এই অঞ্চলের একটি মাত্র দেশ অন্যদের চেয়ে ভালো করছে বলে জানিয়েছে ওই জরিপ। আগামী আগস্ট নাগাদ কিউবায় এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে মাত্র ৮২ জনে।