‘করোনার মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবতাবিরোধী অপরাধ’

করোনার মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভানচি। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই ইরানসহ বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে অবৈধ ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

এদিন নিউ ইয়র্কে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একতরফা পদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কিত এক আলোচনায় অংশ নেন রাভানচি। চীন, রাশিয়া, ইরান, ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া, কিউবা, সিরিয়া, বেলারুশ ও জিম্বাবুয়ে যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

আলোচনা অংশ নিয়ে ইরানি দূত বলেন, যখন করোনাভাইরাসের মহামারি চলছে এবং এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে তখন ইরানসহ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে ওয়াশিংটন। এতে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চূড়ান্তভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়ার অধিকার সব দেশের রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সে অধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তারা খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। রাভানচি বলেন, ওয়াশিংটনের এই দাবি ভিত্তিহীন। কারণ তারা আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ব্যাংকিং খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে কোনও লেনদেন করা যায় না। এ কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ইরান কোনও ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি করতে পারে না। সূত্র: পার্স টুডে।