মানি লন্ডারিং মামলায় কুয়েতের দুই এমপির জড়িত থাকার ইঙ্গিত





লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলমানবপাচার ও মানি লন্ডারিং মামলায় কুয়েতে কারা হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের সঙ্গে দেশটির দুই সংসদ সদস্যের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। শনিবার (২৭ জুন) গালফ নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

কুয়েতের শীর্ষ দৈনিক আল কাবাসের বরাত দিয়ে গালফ নিউজে বলা হয়, শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেশটির দুই সংসদ সদস্যকে ডাকা হবে। তদন্তকারীদের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে আরও জানা যায়, এই দুই ব্যক্তিকে পাপুলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সংসদের সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।

এদিকে মানবপাচারের ঘটনায় কুয়েতের সমাজ কল্যাণ ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে জনশক্তি কর্তৃপক্ষের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মানবপাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছে ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে। এখন পর্যন্ত তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতেন।

এছাড়া পাপুল এবং তার কোম্পানির ব্যাংকে থাকা প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন দেশটির পাবলিক প্রসিকিউটর। এদিকে, বিদেশের মাটিতে একজন এমপি আটকের ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।