যুক্তরাজ্যকে চীনের হুঁশিয়ারি

হংকংয়ে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর পর সেখানে হস্তক্ষেপের বিষয়ে যুক্তরাজ্যকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে চীন। লন্ডনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিং অভিযোগ করেছেন, হংকংয়ের প্রায় ৩০ লাখ বাসিন্দাকে যুক্তরাজ্য যে নাগরিকত্বের  প্রস্তাব দিয়েছে তা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘বড় ধরনের হস্তক্ষেপের’ শামিল। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিং

গত মঙ্গলবার চীনের পার্লামেন্ট হংকংয়ের বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন পাস করে। ওইদিনই এতে স্বাক্ষর করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আইনটির মাধ্যমে হংকংয়ের স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে আশঙ্কা করছেন এর বিরোধীরা। আইনটি পাসের পরই ওই ভূখণ্ডের ৩০ লাখ বাসিন্দাকে যুক্তরাজ্যে থাকার ও কাজ করার সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, নতুন নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ দেওয়া হবে। তারা পাঁচ বছরের জন্য আসতে পারবেন। এরপর নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করতে পারবেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিং যুক্তরাজ্যকে তাদের দেওয়া নাগরিকত্বের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। তিনি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হংকংয়ের বিষয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সরকার।’ তিনি বলেন, বেইজিং কীভাবে হংকংয়ের ওপর প্রতিক্রিয়া দেখায় তা বিস্তারিতভাবে জানার পরই যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

১৫০ বছর ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকংকে চীনের কাছে ফেরত দেয় যুক্তরাজ্য। তখন থেকে অঞ্চলটি ‘এক দেশ, দুই নীতি’ পদ্ধতির আওতায় স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভোগ করে আসছে। বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হংকংকে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন। এই সময়ে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি বাদে অন্য সব বিষয়ে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করতে পারবে অঞ্চলটি। তবে গত বছর অঞ্চলটিতে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সেখানে বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয় বেইজিং। বিরোধীরা বলছেন, এখন এর দোহাই দিয়ে আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির ওপর বাড়তি ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাবে চীন।